আজকের দিনটা বাংলা সিনেমার জন্য একটি বিশেষ অধ্যায় হয়ে থাকবে। অনেকদিন পর এমন একটি সিনেমা দেখলাম, যেটি কমার্শিয়াল ঘরানার সব উপাদান একত্রিত করে ১০০% বিনোদন দিতে পেরেছে। “ফ্যামিলি নিয়ে ব্যস্ত আছি বলে কি ভেবেছিস আমি অ্যাকশনটা ভুলে গেছি?” কিংবা “তোর এই হাত দুটো ঠিক কী কাজে লাগে বল তো?”—এমন ডায়লগ থেকে শুরু করে পুরো সিনেমাজুড়ে এক অদ্ভুত এনার্জি ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়লগ, অ্যাকশন, চিত্রনাট্য, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক—সবকিছুতেই মেকারদের পরিশ্রম স্পষ্ট।
অভিনয়ে জিশু ও দেব কেমিস্ট্রি
জিশু সেনগুপ্তের স্ক্রিন প্রেজেন্স নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিটি দৃশ্যে তাঁর অভিনয় এক কথায় মুগ্ধ করার মতো। চরিত্রকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাঁর অসাধারণ। অন্যদিকে, দেব দার অভিনয় দেখে দর্শকদের অনেক পুরনো সমালোচনা মুছে যাবে। যাঁরা বলতেন, দেব বাংলা সিনেমার জন্য সঠিক নন, তাঁদের উচিত একবার “খাদান” হলে গিয়ে দেখা। এক্সপ্রেশন, ডায়লগ ডেলিভারি, আর চরিত্রের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা তাঁকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে দেব দার জন্য একটি বড়সড় “কমার্শিয়াল কামব্যাক।”
মিউজিক: সিনেমার প্রাণ
রথিজিৎ দাসগুপ্তের সুরে প্রতিটি গান সিনেমার গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে “রাধা রাণী” গানটি অর্কদীপ মিশ্রের কণ্ঠে নতুন মাত্রা পেয়েছে। অন্যদিকে “কিশোরী” গানটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে এবং দ্রুততম ১ মিলিয়ন ভিউ ক্রস করার রেকর্ড করেছে। বাংলা সিনেমার গানের মানে এটি একটি মাইলফলক।
ভিএফএক্স: আন্তর্জাতিক মানের ছোঁয়া
বাংলা সিনেমায় এমন দৃষ্টিনন্দন ভিএফএক্স খুব কম দেখা যায়। বাজেটের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভিএফএক্সের কাজ একেবারে নিখুঁত হয়েছে। প্রতিটি অ্যাকশন সিকোয়েন্সে সিনেমাটিক এফেক্টগুলো বাস্তবের কাছাকাছি মনে হয়েছে।
কেন “খাদান” দেখবেন?
Wiki Kolkata রেটিং: ৪.৫/৫। “খাদান” শুধু একটি সিনেমা নয়; এটি বাংলা সিনেমার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতীক। আমরা যদি আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে সমর্থন না করি, তাহলে বাংলা সিনেমার উন্নতি সম্ভব নয়। একবার হলে গিয়ে “খাদান” দেখুন, কারণ এটি একদিকে বিনোদন, অন্যদিকে বাংলা সিনেমার প্রতি শ্রদ্ধা।
Hats off, খাদান! 🎬
লিখেছেন: অমৃতাংশু চাকী