শুরুটা হয় শ্যামপুকুর থানা এলাকায় একটি দু’চাকা যান চুরির রিপোর্ট দিয়ে। প্রাথমিক তদন্ত থানা থেকেই করা হয়, এবং পরবর্তী তদন্তের ভার ন্যস্ত হয় আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি মোটর থেফট শাখার উপর। কয়েকদিনের মধ্যেই তিলজালা, কড়েয়া এবং আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে আরও চারটি দ্বিচক্রযান চুরির খবর পাওয়া যায়, এবং শুরু হয় অ্যান্টি মোটর থেফট শাখার সার্বক্ষণিক নজরদারি। স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডার (এএনপিআর) ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশের এলাকা থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় চুরি হওয়া একটি দু’চাকার গাড়ির আরোহীর ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। আরও কিছু প্রযুক্তি প্রহরার সাহায্যে যোগাড় হয় চুরির অতিরিক্ত ফুটেজ, পাশাপাশি নির্ধারণ করা হয় চোরদের পালানোর পথের একটি রুট ম্যাপ।
তদন্তের এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অধীনে বিভিন্ন থানার এলাকা থেকেও আরও কিছু দু’চাকা গাড়ি চুরির ঘটনার খবর আসে, এবং স্পষ্ট হয়ে যায় যে প্রতিটি চুরিই কিয়দংশে এক ধাঁচের। সূত্রের খবরের ভিত্তিতে আগরপাড়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে এই চক্রের সম্ভাব্য মূল পাণ্ডা ইমরান নাজিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার শেয়ার করা তথ্যের ভিত্তিতে এরপর গ্রেফতার হয় তার তিন সাগরেদ শেখ ফাইজান, সানোয়ার আলি এবং শেখ সাহাবুদ্দিন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সাতটি চুরি যাওয়া দু’চাকার গাড়ি।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্তরা চোরাই গাড়ি বেচত দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এখন পর্যন্ত এই গ্যাং-এর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ, ব্যারাকপুর কমিশনারেট এবং চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় দশটিরও বেশি দু’চাকার গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। ইমরান নাজির এবং সাহাবুদ্দিনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে, ফয়জান এবং সানোয়ার আলি রয়েছে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে।
সূত্র : কলকাতা পুলিশ