রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা বইমেলায় প্রতিবছরই ভিড় জমান চিত্রশিল্পীরা। তাদের রং তুলির ছোঁওয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠে নানান দৃশ্য। এবারও চিত্রশিল্পীরা এসেছেন বইমেলায়। তাদের হাতে আঁকা ছবির টানে ভিড় জমাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। অনেকে কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
বই এবং পেইন্টিং যেন একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। বইয়ের মলাটে শিল্পীর ছোঁওয়া জানান দিয়ে যায় উপন্যাসের গল্পকে। কলকাতার ময়দান থেকে মিলন মেলা হয়ে আজকের সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণ – বইয়ের সাথে সাথে পেইন্টিংও নিজের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে। তবে ট্রাডিশন বজায় রেখে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন শিল্পীরা। বইমেলার শেষ প্রান্তে আলো-অন্ধকারে পাঁচিলের গায়ে জায়গা হয়েছে তাদের। তবে বই পাঠকদের চোখ এড়াচ্ছে না। হাজার বইয়ের মাঝেও খুঁজে নিচ্ছেন তুলির টানে জীবন্ত হয়ে ওঠা সেরা ছবিকে। বিভিন্ন পেইন্টারের ছবির সম্ভারের সামনে তাই বইপ্রেমীদের ভিড় যথেষ্টই। কেউ তাঁরা বিখ্যাত শিল্পীর নাম-যশ পাননি। জীবনে পাননি তেমন বড় কোন সম্মান।
তবুও তারা বুঁদ হয়ে থাকেন ছবি আঁকার নেশায়। ছবির টানে ছুটে আসেন কলকাতা বইমেলায়। গভীর ভালোবাসায় বহু শ্রম দিয়ে রং-তুলিতে ফুটিয়ে তোলা জীবন্ত ছবিকে তুলে ধরেন ছবিপ্রেমীদের সামনে।
বইমেলার মাঠকেই তারা স্টুডিও বানিয়ে নিয়েছেন। সেখানেই রং তুলিতে ফুটিয়ে তুলছেন মনের ভাবনাকে। হাতের ছোঁওয়ায় ফুটে উঠেছে ঐতিহ্য থেকে প্রকৃতির খোলা অঙ্গন। কলকাতার ট্রাম থেকে গ্রাম বাংলার বাঁশবন। আর যার আকর্ষণে বইপ্রেমীদের ভিড় জমছে।