বিদিতা ঘোষ, কলকাতা: ভাইফোঁটার মিস্টি তালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে পায়েস। বাঙালির একেবারেই নিজস্ব আইটেম। ঘরোয়া পায়েস এখন শহরের নামি মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের শোকেসেও সাজানো। ক্রেতাদের মধ্যে এই পায়েস কেনার প্রতি বিশেষ টানও দেখা যাচ্ছে। রাজ্যেব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের একটা অনুষ্ঠানে আবেদন রেখেছিলেন তাদের দোকানে পায়েস রাখার জন্য। সম্প্রতি কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অনুরোধ করেছিলেন বাঙালির নিজস্ব পায়েস তাদের প্রতিষ্ঠানে যেন তারা রাখেন। কলকাতার অধিকাংশ নামি মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী তাদের শোকেসে এখন থেকে পায়েসও রাখতে শুরু করেছেন। সাড়া দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে।
এই যেমন শতবর্ষ প্রাচীন কলকাতার অন্যতম নামি মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান গুপ্তা ব্রাদার্স। তাদের চেতলা ও কাঁকুড়গাছি ব্রাঞ্চে বিভিন্ন আইটেমের মিস্টি ও সন্দেশের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে পায়েস। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সিদ্ধার্থ ললিত গুপ্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওই আবেদনের পর থেকে তারা অন্যান্য আইটেমের সঙ্গে পায়েসও রাখছেন। বিভিন্ন ধরনের পায়েস তাদের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস থেকে শুরু করে থানার বিভিন্ন আইটেমের পায়েস। ক্রেতাদের বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গুপ্তা ব্রাদার্স এর পাশাপাশি শহরের অন্যান্য নামি মিষ্টির দোকানগুলিতেও পায়েস বিক্রি হচ্ছে ভালো। ক্রেতারাও খুশি পায়ের দোকান থেকে কিনতে পেরে।
এখন অনেক বাড়িতে আর পায়েস বানানো হয়ে ওঠেনা। ছোটবেলায় মা ঠাকুমার হাতের তৈরি পায়েসের স্বাদ ভুলতে বসেছেন তারা। জন্মদিনে পায়েশ এক প্রকার উঠে গেছে অনেকের ঘরে। সেই জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে কেক। বাঙালির ঘরে জন্মদিনের পায়েসের পরিবর্তে কেক বেমানান হলেও বাধ্য হয়েই তা দিয়েই জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে। কারণ পায়েস বানানোর সেই সময় অনেকের থাকে না। এখন নামি মিষ্টির দোকানগুলিতে পায়েস পাওয়া যাওয়ায় বেজায় খুশি অনেকেই। আর ভাইফোঁটার মিষ্টির তালিকায় পায়েশ দিতে পেরে বোনেরাও খুশি।