২ দিনের বাণিজ্য সম্মেলনে বিপুল লগ্নির প্রস্তাব এসেছে। প্রায় ৪লক্ষ কোটি বিনিয়োগ প্রস্তাব মিলেছে।গতবারের থেকে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব মিলল এবারের বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে। বাংলার প্রতি আস্থা বাড়ছে বিশ্বমানের শিল্পপতিদের। স্বাক্ষরিত হয়েছে নতুন করে আরও ১০৮টি মউ। বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনের শেষ দিনে ঘোষনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছেন মুকেশ আম্বানি সহ শিল্পপতিরা। রাজ্যে আগামী ৩বছরে আরও ২০হাজার কোটি লগ্নির কথা ঘোষণা করেন রিলায়েন্স পোস্টের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। কমলা নিয়ে তৃতীয় দিনের ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয় যখন বেকারত্ব বেড়েছে তখন পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার অনেক কমেছে। এরাজ্যে একাধিক শিল্পপতি তারা তাদের বিনিয়োগ করতে চাইছে। আহ্বান জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের শিল্প পরিকাঠামো করে তোলা হয়েছে যাতে শিল্পপতিরা আকৃষ্ট হন। পর্যটন থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সর্বক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসছে।
একদিকে যখন রাজ্যে বিনিয়োগ আসছে তখন বিরোধীরা তাদের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। বিনিয়োগে বান ডাকলেও কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।মুকেশ আম্বানীকেও সমালোচনা করতে ছাড়লেন না বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মুকেশ আম্বানীকে নিয়েও অশালীন কটাক্ষ দিলীপের। এই বিজেপি নেতা বলেন ‘তেল মারতে এসেছেন’। এতদিন যারা শিল্পে খরার কথা বলতেন তাঁদের গলায় উল্টোসুর।শিল্পপতিদের সদর্থক পদক্ষেপকেই কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতারা। প্রশ্ন উঠছে, গুজরাটে বিরোধীরা সরকারের সহযোগী হয়। বাংলায় কেন সেই বিজেপি শিল্পায়নকে ইতিবাচকভাবে দেখছে না ? তাহলে কী শুধুই বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা ? বাংলা বিরোধী রাজনীতির সমালোচনায় শিল্পমহলের একাংশ। বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার এই প্রয়াসে ক্ষুব্ধ অনেকেই।