শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জগৎ বিখ্যাত বুড়িমার চক্ষু দান করা হয়। এবার বুড়িমার পুজো ২৫১ বছরে পদার্পণ করল। এবারের পুজোয় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে বলেই জানান পূজা উদ্যোক্তারা। প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজোর পূর্ণ লগ্নে কৃষ্ণনগর পৌরসভার চাষা পাড়া এলাকায় বুড়িমা দর্শন করতে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী। পূজা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অন্যান্য বছরের মত এ বছরেও প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ ভক্তবৃন্দের মধ্যে বিতরণ করা হবে মায়ের পোলাও ভোগ। এছাড়াও পূজা মন্ডপ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার উপস্থিত দর্শনার্থীরা মহাপ্রসাদ বা ভোগ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। মায়ের মহা প্রসাদ পোলাও প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় মসলা ইতিমধ্যেই তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন মানুষ। পূজার দিন ৫০ কুইন্টাল চাল ১৩ কুইন্টাল ঘি ছাড়াও প্রায় ২ কুইন্টাল দারচিনি, এলাচ, কাজু, কিসমিস ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মসলা জাত দ্রব্য দিয়ে তৈরি করা হয় মায়ের এই পোলাও মহাপ্রসাদ। ভোগের পর যা বিতরণ করা হয় লক্ষ লক্ষ উপস্থিত বক্তব্য বৃন্দদের মধ্যে। প্রাচীন রীতি মেনে মায়ের মূর্তি তৈরি করার পাল মশাই থেকে শুরু করে পূজার আয়োজন এর কাজ প্রত্যেকেই বংশপরম্পরায় এখানে করে থাকেন বলে জানান পূজা উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি প্রতিবছর বুড়িমার প্রতিমা দর্শন ছাড়াও মায়ের কাছে অঞ্জলি দিতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ উৎসাহী ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে চাষাড়া বারোয়ারির পূজা মন্ডপে। এবারও একইভাবে দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটকে বলে আশাবাদী পূজা কমিটির সদস্যরা। সার্বিক সুরক্ষার তাগিদে বুড়িমা পূজা কে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণে মানুষের সমাগম হওয়াকে কেন্দ্র করে যে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয় পূজা মন্ডপ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। এছাড়াও এই বছর পুজোয় প্রায় ১২ কেজি গহনা দিয়ে মাকে সাজিয়ে তোলা হবে। পাশাপাশি ভোর বেলায় অঞ্জনা নদীতে মায়ের নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হবে বলে জানান পূজা উদ্যোক্তারা।