পুনেতে থাকেন বছর ৪১ এর করুণা পান্ডে। যিনি দীর্ঘদিন ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন, তাবড় তাবড় চিকিৎসকরা ক্যান্সার সারাতে ব্যর্থ হন। তারপর গত এক মাস আগে কলকাতার বাইপাসে বিশিষ্ট ইমিউনোথেরাপিস্ট ডাক্তার জামাল এ খানের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন তিনি অনেকটাই ভালো।
প্রসাব ও পায়খানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন চিকিৎসক বলেছিলেন তিনি আর বেশিদিন বাঁচবেন না। তার পরিবারও সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছিল। এই সময় তারা বিশিষ্ট ইমিউনোথেরাপিস্ট ডাক্তার জামাল এ খানের সম্পর্কে জানতে পেরে
তাঁর ডেনভ্যাক্স ক্লিনিকে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করেন । খুব দ্রুত ভালো ফল পান।
করুনা পান্ডের মেয়ে নেহা পান্ডে বলেন,যখন অন্যান্য চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দেন তখন ডাঃ খানের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তার মা। আজ এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল এবং আজ আমাদের ঘরে সুখ ফিরে এসেছে। আমি এবং আমার পরিবার খুব খুশি। আমি যখন পুনে ছেড়েছি, তখন ভাবিনি যে আমার মা সুস্থ হতে পারবে। এখন মা খাওয়া-দাওয়াও করছে। এর জন্য আমি ডাঃ জামাল এ খানকে ধন্যবাদ জানাই। যখন আমরা সকল ডাক্তারের কথায় হতাশ হয়েছিলাম, সেখানে ডাঃ জামাল এ খান আমার মাকে নতুন জীবন দিয়েছেন।
করুনা পান্ডের মতোই ছত্রিশগড়ের বাসিন্দা বছর ৩৮ এর নবীন পাল দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন।তিনিও বাঁচার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন। যখন বিভিন্ন চিকিৎসার পর চিকিৎসকেরা কোনো রকম আশা দিতে পারেননি তখন ডাঃ জামাল এ. খানের ডেনভ্যাক্সে ক্লিনিকে চিকিৎসা শুরু করেন। তিনি বলেন,’এখন আমি একদম ভালো আছি। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি ভালো থাকব। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই যে, যারা এখানে-সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা ডাঃ জামাল এ. খানের ক্লিনিকে এসে একবার দেখান । অনেক ভালো থাকবেন।
ডক্টর জামাল এ খান বলেন,ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও দূরে রাখে। তিনি একজন সফল ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপি বিশেষজ্ঞ এবং ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা করছেন। এই পদ্ধতিতে, পরীক্ষাগারে রোগীর রক্তকণিকার মূল ভিত্তি পরিবর্তন করা হয় এবং পরিবর্তিত রক্ত কণিকা ফিরে গিয়ে ক্যান্সার কোষের সাথে লড়াই করতে সক্ষম হয়। ডক্টর খান জানান, এই আবিষ্কারের জন্য তাঁর শিক্ষককে নোবেল পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। খুব কম লোকই আছে যাদের এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায়। এই কারণেই ডাঃ খান সারা ভারতে তার ক্লিনিক প্রসারিত করেছেন যাতে তার রোগীরা প্রতিটি রাজ্যে এর সুবিধা নিতে পারে।
ডক্টর খান উন্নত দেশে তার কাজ করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এ ধরনের সব সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন যে ‘আমি কেবল আমার দেশটিকেই সেরা বলে মনে করি এবং এখানে থাকা এবং আমার দেশবাসীর সেবা করাকে আমি আমার লক্ষ্য ও কর্তব্য মনে করি।