বস্তাপচা পন্থা, তবে শেষটা একটু অন্যরকম। গত বছরের ২২ মার্চ তাঁর সিইএসসি বিল সংক্রান্ত একটি মেসেজ পান ময়ূরভঞ্জ রোডের এক বাসিন্দা। অজস্র ভুলে ভরা এই জাল মেসেজ আপনারা অনেকেই পেয়েছেন, যেখানে ইলেক্ট্রিসিটি বিল না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ঘাবড়ে গিয়ে মেসেজে দেওয়া নম্বরে ফোন করেন প্রাপক, এবং ফোন ধরে আপাতদৃষ্টিতে ‘সিইএসসি হেড অফিস’-এর এক কর্মচারী। অপরিচিত এই ব্যক্তি মেসেজের প্রাপককে বলে, গুগল প্লেস্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে, যার মাধ্যমে নাকি ১০ টাকা পাঠাতে হবে সেই ব্যক্তির পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করে। সেই ১০ টাকা আবার পরে ফেরতও দেওয়া হবে!
অবধারিতভাবে লিঙ্কে ক্লিক করে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ও ওটিপি দেওয়া মাত্রই ভদ্রলোকের অ্যাকাউন্ট থেকে দু দফায় গায়েব হয়ে যায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি প্রতিরোধ শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি, এবং তদন্ত চলাকালীন আমরা জানতে পারি, পুরো টাকাটাই জমা পড়েছে একটি ই-কমার্স ও মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে-র অ্যাকাউন্টে। বহু চেষ্টার পর টাকার গতিবিধি নির্ণয় করতে সক্ষম হন আমাদের তদন্তকারীরা, এবং শেষমেশ গেটওয়ে-র সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে দেন লেনদেন, যার পর সেই টাকা ফেরত চলে যায় তার প্রতারিত মালিকের কাছে।
সুখের কথা, এই মামলায় এবার পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ , যা সবসময় সম্ভব হয় না কলকাতা পুলিশের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হয়েছে হুগলী থেকে, বাকি দুজন মুর্শিদাবাদ থেকে। প্রত্যেকেরই যোগ রয়েছে কুখ্যাত ‘জামতারা গ্যাং’-এর সঙ্গে। আপাতত তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করে নি কলকাতা পুলিশ।
তথ্যসূত্র : কলকাতা পুলিশ