চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় : ভবানী ভবন। আলিপুরের এই বাড়িতেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের অন্যতম সদর দফতর। কিন্তু এই বাড়ির নাম ‘ভবানী ভবন’ হল কেন?
এর নেপথ্যে রয়েছেন এক অসম সাহসী বাঙালি। ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য। ১৯৩৪ সালে বাংলার রাজ্যপাল, অত্যাচারী ইংরেজ শাসক জন অ্যান্ডারসনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বাংলার বিপ্লবীরা। সেই দলেই ছিলেন এই বিপ্লবী। তাঁদের কাছে খবর আসে, ৮ মে দার্জিলিংয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাজ্যপাল। যথাসময়ে ঘোড়দৌড়ের মাঠে সাহেবি পোশাক পরে হাজির হন বিপ্লবীরা। অনুষ্ঠান শেষ হতেই রাজ্যপালের কাছাকাছি পৌঁছে গুলি চালান ভবানী। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান অ্যান্ডারসন। তাঁর রক্ষীর পর পর গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ভবানী। ধরা পড়ে গেলে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। পরে মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। ১৯৩৫ সালের ৩ ফেব্রয়ারি রাজশাহির কেন্দ্রীয় জেলে ফাঁসি হয় ভবানীপ্রসাদের।
ওই ইংরেজ শাসকের নামেই আলিপুরে অ্যান্ডারসন হাউস গড়ে তুলেছিল ব্রিটিশেরা। যেখানে আজ রাজ্য পুলিশের সদর দফতর। স্বাধীনতার পরে বাড়িটির নাম বদল নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। সেকথা মাথায় রেখেই ১৯৬৯ সালে অ্যান্ডারসন হাউসের নাম বদলে ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের স্মরণে তা হয় – ভবানী ভবন।